জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় - জ্বর হওয়ার কারণ কি
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সকলে জানতে চান। এর কারণ হলো বছরের যে কোন
সময়ই আমরা আমাদের শরীরে জ্বর অনুভব করি। তবে আমরা অনেকেই জানিনা জ্বর হওয়ার
কারণ কি। কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে জ্বর কমানো যায় তা জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি না জেনে থাকেন জ্বর কেন হয় এবং ঘরোয়া উপায়ে জ্বর কমাতে চান তাহলে এই
আর্টিকেলটি আপনার জন্য। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিত সকল কিছু আলোচনা করা হলো।
পেজ সুচিপত্র
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। খুব সহজেই ঘরোয়া কয়েকটি
উপায়ে জ্বর কমানো যায়। ঘরো ভাবে জ্বর কমানোর অনেক কার্যকরী উপায় রয়েছে।। আপনি
যদি এ সকল উপায়গুলো মেনে চলেন তাহলে খুব সহজে আপনি ঘরোয়া উপায়ে জ্বর কমাতে
পারবেন। জ্বর কমানোর সবচাইতে উত্তম উপায় হলো ঘরোয়া উপায়।
তবে কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে জ্বর কমানো যায় তা জানার আগে আমাদের জ্বর কেন হয় এ
সম্পর্কে জানা উচিত। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় অনেকের জ্বর, সর্দি ও কাশি
একসাথে হয়ে থাকে। একসাথে জ্বর সর্দি কাশি কেন হয় এবং এর কারণ কি তা সম্পর্কে
আমাদের জানা প্রয়োজন রয়েছে। তাই নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
জ্বর হওয়ার কারণ কি
সাধারণত শরীরের অভ্যন্তরে কোন সংক্রমণ বা অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া শুরু হলে জ্বর
হয়। শরীরের রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হলো জ্বর এর প্রধান কাজ।
সূর্যের ভাইরাসজনিত সংক্রমনের কারণে সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গু এবং এবং
চিকন কুনিয়া রোগ হতে পারে। এ সকল ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য
শরীরে এক ধরনের তাপ উৎপন্ন হয়।
ভাইরাস সংক্রমণের বিপরীতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য শরীরে যে তাপ উৎপন্ন হয় তাই
সাধারণত আমাদের কাছে জ্বর হিসেবে পরিচিত। ব্যাকটেরিয়ার জনিত সংক্রমণের কারণে
আমাদের জ্বর হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পরজীবী সংক্রমণের কারণেও আমাদের
জ্বর হতে পারে। ইনফিলেমেটরি বা প্রদাহ জনিত সমস্যার কারণেও আমাদের শরীরে জ্বর হতে
পারে।
আমাদের শরীরে অতিরিক্ত তাপ বেড়ে গেলেও আমাদের জ্বর হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধ
রয়েছে যেগুলোর অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিছু সংখ্যক ওষুধ খাওয়ার
কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে জ্বর হতে পারে। এছাড়াও যদি কারো শরীরে টিউমার
বা ক্যান্সার জনিত রোগ থাকে তাহলে তা থেকে জ্বর হতে পারে।
জ্বর সাধারণত শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে জ্বর যদি
দীর্ঘমেয়াদি হয় বা ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ওপরে উঠে
যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। জ্বর কমাতে হলে আমাদের কিছু
খাদ্য খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। নিচে জ্বর কমানোর খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হলো।
জ্বর কমানোর খাবার
জ্বর কমানোর খাবার হিসেবে আমাদের এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত যার শরীরকে পুষ্টি
যোগায় এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। এমন অনেক খাদ্য রয়েছে যেগুলো খেলে
আমাদের খুব দ্রুত জ্বর কমতে সাহায্য করবে। নিচে কিছু সংখ্যক পুষ্টিকর খাদ্যের
তালিকা প্রকাশ করা হলো যা খেলে আপনি দ্রুত জ্বর কমাতে পারবেন।
১. পানি ও তরল পানীয়
- শরীরে জ্বর হলে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি।
- নারিকেলের পানি, ডাবের পানি, চিনি ছাড়া বিভিন্ন ফলের রস অথবা হালকা সুপ পান করলে শরীরে পানি শূন্যতা কমবে।
২. ফল
- জ্বর হলে কমলা লেবু খাওয়া যেতে পারে। ভিটামিন সি থাকার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- তরমুজ, আঙ্গুর, এবং আপেল খেতে পারেন। এ ধরনের ফল পানি ও পুষ্টিতে ভরপুর থাকে। এর ফলে ঝড়ের সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং এনার্জি দেয়।
এছাড়াও আরো অনেক খাদ্য রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের জ্বর কমতে সাহায্য করে। নিচে এ
সকল খাবার উল্লেখ করা হলো:
- স্যুপ: মুরগির সব বা শাক-সব হালকা পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। এগুলো শরীরের পুষ্টি ও পানি যোগায়।
- দই: প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই শরীরে ইউমিন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
- খিচুড়ি বা হালকা খাবার: হালকা খিচুড়ি, ভাত অথবা মসুরের ডাল সহজে হজম হয় এবং এতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট থাকে যার শরীরে শক্তি যোগায়।
- সবজি: বাটার নাট স্কোয়াশ, কাজর, আল ইত্যাদি সিদ্ধ করে খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়।
- মধু ও আদা চা: মধু অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আদাতা শরীরকে আরাম দেয় এবং ঠান্ডা কাশির উপশমে সহায়ক।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় যেগুলো খেলে দ্রুত জ্বর কমতে সাহায্য
করে। যে সকল ওষুধ খেলে দ্রুত জ্বর কমতে সাহায্য করে সে সকল ওষুধ সম্পর্কে নিজে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
দ্রুত জ্বর কমানোর ওষুধ
দ্রুত জ্বর কমানোর ওষুধ হিসেবে সাধারণত আমরা প্যারাসিটামল কে চিনি। তবে আরও
বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় যেগুলো খেলে আমাদের দ্রুতজর কমতে সাহায্য করে।
তবে যেকোনো ধরনের ওষুধ খাবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরি। দ্রুত
জোর কমানোর জন্য খুবই পরিচিত কয়েকটি ওষুধের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো:
- প্যারাসিটামল (Paracetamol/Acetaminophen)
- ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen)
- নাপ্রোক্সেন (Naproxen)
- অ্যাসপিরিন (Aspirin)
উপরে উল্লেখিত ঔষধ গুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
প্যারাসিটামল ও এবং প্রোফাইল একসাথে ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের নির্দেশনা
মানতে হবে। জর দীর্ঘস্থায়ী হলে বা অন্যান্য উপসর্গ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে
পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে। ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ অনেক
প্রয়োজন রয়েছে।
ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে জ্বর কমানো যায়
ঘরোয়া উপায়ে জ্বর কমানোর কিছু কার্যকর পদ্ধতি রয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে শরীরের
তাপমাত্রা কমাতে এবং স্বস্তি দিতে পারে এমন অনেক উপায় রয়েছে। তবে, যদি জ্বর
দীর্ঘস্থায়ী হয় বা উচ্চ তাপমাত্রায় পৌঁছে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত
জরুরী। নিচে জ্বর কমানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি দেওয়া হলো:
১. ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পটি
- একটি পরিষ্কার কাপড় ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে কপালে, ঘাড়ে এবং কব্জিতে প্রয়োগ করতে পারেন। এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সহায়ক।
- ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করলে শরীরের তাপ দ্রুত হ্রাস পায়।
২. পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা
- জ্বরের সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের হয়ে যায়, তাই প্রচুর পানি পান করা জরুরি।
- পানি, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের রস ইত্যাদি পানীয় শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৩. গরম স্যুপ বা তরল খাবার
- মুরগির স্যুপ, শাকসবজির স্যুপ বা হালকা খিচুড়ি শরীরকে পুষ্টি দেয় এবং হালকা খাবার হজম করতে সহজ হয়।
- স্যুপ বা তরল খাবার খেলে শরীরের পানিশূন্যতা কমে এবং জ্বর নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. তুলসী পাতা
- তুলসী পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ রয়েছে, যা শরীরের জ্বর কমাতে সহায়ক।
- কিছু তুলসী পাতা পানিতে সিদ্ধ করে চা তৈরি করতে পারেন এবং দিনে ২-৩ বার পান করুন।
৫. আদা ও মধুর মিশ্রণ
- আদা ও মধুর মিশ্রণ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে।
- এক চা চামচ আদার রসের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেলে জ্বর কমানোর পাশাপাশি সর্দি-কাশিতেও উপকার পাওয়া যায়।
৬. লেবু ও মধুর শরবত
লেবুর রস ও মধুর শরবত শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে এবং পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
এতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
৭. পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের ভেতরের তাপ কমিয়ে
দেয়।
পুদিনা পাতা দিয়ে চা বানিয়ে দিনে ২-৩ বার পান করতে পারেন।
৮. গরম পানিতে গোসল করা
হালকা গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি রক্ত
সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং তাপমাত্রা কমিয়ে আনে।
৯. আধা-পাকা পেঁপে ও লেবু
আধা-পাকা পেঁপে জুস তৈরি করে তাতে কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে শরীরের
তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
১০. পা ভিজিয়ে রাখা
হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন। এটি শরীরের তাপমাত্রা
কমাতে এবং আরাম দিতে সাহায্য করে।
সতর্কতা:
- যদি জ্বরের সাথে অন্যান্য জটিল উপসর্গ (যেমন তীব্র মাথাব্যথা, বমি, খিঁচুনি) দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করার সময় ওষুধের প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শমতো গ্রহণ করুন।
জ্বর সর্দি কমানোর ঘরোয়া উপায়
জ্বর এবং সর্দি কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায়গুলো সাধারণত প্রাকৃতিক উপাদান ও পদ্ধতির
উপর ভিত্তি করে থাকে। এটি শরীরকে দ্রুত আরাম দিতে সহায়ক। নিচে জ্বর সর্দি
কমানোর ঘরোয়া কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলো:
১. আদা চা
আদা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ভাইরাল গুণে সমৃদ্ধ। এটি সর্দি-কাশি এবং
গলা ব্যথা উপশম করতে সহায়ক।
পদ্ধতি: এক টুকরো আদা কুচি করে পানিতে সিদ্ধ করুন। চাইলে একটু মধু যোগ করতে
পারেন। দিনে ২-৩ বার আদা চা পান করলে সর্দি ও জ্বরের উপশম হয়।
২. মধু ও লেবুর মিশ্রণ
মধু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, যা সর্দি ও গলার
খুশখুশ ভাব দূর করতে সহায়ক।
পদ্ধতি: এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে
দিনে ২-৩ বার পান করতে পারেন। এটি ঠান্ডা এবং সর্দি দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।
৩. তুলসী পাতা
তুলসী পাতা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদানে ভরপুর, যা শরীরের
সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
পদ্ধতি: ৫-১০টি তুলসী পাতা পানিতে সিদ্ধ করে দিনে ২-৩ বার এই চা পান করুন।
৪. বাষ্প গ্রহণ (Steam Inhalation)
বাষ্প গ্রহণ সাইনাস পরিষ্কার করে, সর্দি ও নাক বন্ধ ভাব কমায় এবং ফুসফুসকে
পরিষ্কার রাখে।
পদ্ধতি: ফুটন্ত পানিতে এক চামচ ভিক্স বা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে বাষ্প নিন।
দিনে ২-৩ বার এই প্রক্রিয়া করলে আরাম পাবেন।
৫. গরম পানি দিয়ে গার্গল (Gargle):
গলা ব্যথা, সর্দি ও সংক্রমণ কমাতে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করতে পারেন। এটি
ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং গলার প্রদাহ কমায়।
পদ্ধতি: আধা চা চামচ লবণ এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার গার্গল করুন।
৬. পুদিনা চা (Mint Tea)
পুদিনা পাতা শ্বাসনালীকে শিথিল করে এবং সর্দি-কাশি কমায়। এটি নাক বন্ধ ভাব দূর
করে এবং শরীরকে আরাম দেয়।
পদ্ধতি: কিছু পুদিনা পাতা পানিতে সিদ্ধ করে চা বানিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।
৭. হলুদ ও দুধ
হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে।
এটি সংক্রমণ দূর করতে সহায়ক।
পদ্ধতি: এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া এক গ্লাস গরম দুধে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান
করুন।
৮. গরম স্যুপ
মুরগির স্যুপ বা শাকসবজির স্যুপ শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর এবং সর্দি-কাশি কমাতে
সাহায্য করে। এটি শরীরকে ভেতর থেকে গরম করে এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখে।
পদ্ধতি: মুরগি বা সবজি স্যুপে আদা ও রসুন যোগ করলে এটি আরও কার্যকর হয়।
৯. কাঁচা রসুন (Garlic)
রসুন অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণে সমৃদ্ধ, যা জ্বর এবং সর্দি
কমাতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি: দিনে ১-২টি কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা রসুনের রস ও মধু মিশিয়ে
খেলে উপকার পাবেন।
১০. পানি ও তরল গ্রহণ:
জ্বর এবং সর্দি হলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই প্রচুর পানি, ডাবের
পানি, ফলের রস, লেবুর শরবত ইত্যাদি পান করা জরুরি। তরল গ্রহণ শরীরকে হাইড্রেট
রাখে এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
১১. আরামদায়ক পোশাক এবং বিশ্রাম:
হালকা, আরামদায়ক পোশাক পরুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। বিশ্রাম শরীরের প্রতিরোধ
ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে, যা দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় কি
দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় কি এ সম্পর্কে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে
থাকেন। বিভিন্নভাবে দ্রুত জ্বর কমানো যায়। ওপরে ঘরোয়া ভাবে দ্রুত জ্বর কমানোর
উপায়, ওসব খেয়ে দ্রুত জ্বর কমানোর উপায়, বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে দ্রুত
জ্বর কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি দ্রুত জ্বর
কমানোর উপায় কি তা জানতে চান তাহলে উপরে অংশগুলো পড়ে আসেন।
ওপরে উল্লিখিত নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই দ্রুত জ্বর কমাতে পারবেন।
আপনার জন্য কোন পদ্ধতিটি ভালো হবে তা আপনি উপরের অংশ থেকে পড়ে নির্বাচন করুন।
নিয়মিত এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে দ্রুত জ্বর কমানো সম্ভব। তবে জ্বর যদি
দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
লেখকের মন্তব্য
অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়, জ্বর হওয়ার কারণ
কি, দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে সার্চ করে থাকেন। তাই এই
আর্টিকেলের মধ্যে জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল কিছু আলোচনা
করা হয়েছে। আপনি যদি জোর কামানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান এবং জল হওয়ার
কারণ কি সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত
করুন।
comment url