মানবদেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব - মাদকাসত্তি ও তার প্রতিকার
মানবদেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আজকে এই আর্টিকেলের
মধ্যে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব ও মাদকাসক্তি ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হবে। মাদক মানবদেহে কি ক্ষতি করে চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
মাদক আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের মাদকের
প্রতিকার সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। নিচে এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া হলো।
পেজ সুচিপত্র
মানবদেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব
নিয়মিত মাদক সেবনের ফলে মানবদেহে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। তবে অনেকেই
জানেন না মানব দেহে মাদকের ক্ষতিকার প্রভাব কি কি। বিভিন্ন দিক থেকে মানবদেহে
মাদক অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। মানবদেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব না জানার কারণে
অনেকেই নিজের অজান্তেই মাদক সেবন করে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছেন।
তাই আমাদের মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করার প্রয়োজন
রয়েছে। মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হলে নিচের
অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিচে মানব দেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে
কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হলো:
- শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
- মানসিক স্বাস্থ্য ও বুদ্ধিমত্তার উপর প্রভাব
- শিক্ষা থেকে বিচ্যুতি।
- অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া
- পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের অবনতি
- অর্থনৈতিক চাপ
আরো অনেক দিক থেকে বাংলাদেশের যুব সমাজের উপর মাদকাসক্তির প্রভাব পড়তে পারে।
উপরে উল্লেখিত সকল বিষয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মাদক সমস্যার কারণ কি
মাদক বর্তমানে অনেক বড় একটি সমস্যার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। মানবদেহে মাদকের
ক্ষতিকর প্রভাব এর পাশাপাশি এটি একটি পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের উপরেও অনেক বড়
প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু মানব দেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে তা নয়। মাদক
শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
মাদক সমস্যার কারণে সমাজে অপরাধের হারও বৃদ্ধি পায়।
তবে এই মাদক সমস্যার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। অনেক মানুষ মানসিক চাপ, হতাশা, দুঃখ
বা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে মাদক সেবন করে। তবে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা ছাড়াও
সামাজিক ও পারিবারিক চাপেও অনেকে মাদকদ্রব্য সেবন করে থাকে। মাদক সেবনকারীদের
সঙ্গে মেলামেশা বা পরিবারে মাদকের উপস্থিতি থাকলে একজন ব্যক্তি খুব সহজেই এতে
আসক্ত হতে পারে।
এছাড়াও বর্তমানে অবৈধভাবে মাদকের ব্যবসা চলছে। অবৈধ মাদক ব্যবসা এবং মাদকের
সহজলভ্যতা অনেক বড় একটি কারণ। সহজে হাতের নাগালে মাদকদ্রব্য পেলে অনেকেই শখের
বসেও মাদকদ্রব্য সেবন করে। মানবদেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে না জানার
কারণে অনেকেই মাদকদ্রব্য সেবন করে বসে।
তবে মাদক সমস্যার সবচাইতে বড় এবং প্রধান কারণ হলো শিক্ষা ও অজ্ঞতার অভাব। মানব
দেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা এবং অজ্ঞতার অভাবে অনেকেই
মাদক সেবন করেন। মাদক সেবন করে যাদের শরীরে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে তাদের
মাদকাসক্তির ও তার প্রতিকার সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি।
যুবসমাজের উপর মাদকাসক্তির ক্ষতিকর প্রভাব
বাংলাদেশের যুব সমাজের উপর মাদকাসক্তি অনেক বড় প্রভাব বিস্তার করেছে। বর্তমানে
বাংলাদেশের যুবসমাজের অধিকাংশই মাদকাসক্ত। যুবসমাজ দেশের ভবিষ্যৎ শক্তি হিসেবে
বিবেচিত হয়। তবে মাদকের প্রভাবের কারণে যুবসমাজ ক্রমশ ধ্বংসের দিকে চলে
যাচ্ছে। মাদকাসক্তির কারণে যুবসমাজের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে
অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ভবিষ্যতে যারা দেশ গড়বে এবং যাদের কাধের ওপর ভর করে দেশ উন্নত হবে তারা মাদকে
আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হওয়ার কারণে বর্তমানে
বিভিন্ন ধরণের সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতও নষ্ট হচ্ছে। তাই আমাদের সকলের এই
যুব সমাজের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বাংলাদেশের যুবসমাজকে মাদকের হাত থেকে
রক্ষা করা উচিত।
যুবসমাজ যদি ধংশ হয় তাহলে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সারা দেশের ক্ষতি
হবে। আগের তুলনায় বর্তমানে মাদকাসক্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মাদকের সহজলভ্যতা
হলো মাদকাসক্তি বাড়ার প্রধান কারণ। মাদক সেবন করে যুবসমাজ তাদের শারীরিক,
মানসিক ও অর্থনৈতিক ভাবে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তা নিচে বর্ণনা করা হলো।
মাদক সেবনে শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
মাদক সেবনের ফলে যুবকের শারীরিক স্বাস্থ্য অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইয়াবা, গাঁজা,
হেরোইন ইত্যাদি নিয়মিত সেবনের ফলে তাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ নষ্ট হয়ে যায়।
নিয়মিত মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে হৃদযন্ত্র, কিডনি, লিভার এবং মস্তিষ্কের
কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায়। । এর ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং
গুরুতর রোগে আক্রান্ত হয়।
শরীর দুর্বল হয়ে গেলে কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। শরীর দুর্বল হওয়ার কারণে
যুবকরা কঠোর পরিশ্রম করতে পারে না। যুবকরা যদি কঠোর পরিশ্রম করার শক্তি হারিয়ে
ফেলে তাহলে তাদের ধীরে ধীরে কাজ করার ইচ্ছা নষ্ট হয়ে যাবে। মানসিক ভাবে অনেক
ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে ব্যর্থ হবে। এর ফলে পরিবারে
অশান্তি নেমে আসবে।
মানসিক স্বাস্থ্য ও বুদ্ধিমত্তার উপর মাদকের প্রভাব
নিয়মিত মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে যুবকের মানসিক স্বাস্থ্যে অনেক অবনতি ঘটে।
হতাশা, উদ্বেগ, সাইকোসিস এবং অন্যান্য মানসিক রোগ দেখা দেয়। নিয়মিত মাদক
সেবনের ফলে মনোযোগের অভাব এবং স্মৃতিশক্তি আস্তে আস্তে কমে যায়। তাই আমাদের
নিয়মিত মাদক সেবন থেকে দুরে থাকা উচিত। নিজে সচেতন থাকার পাশাপাশি অন্যকে সচেতন
করা উচিত।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকার কারণে যুবকরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। আর
বুদ্ধিমত্তার ওপর অনেক বড় ধরণের প্রভাব পড়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রে পাগল হয়ে
যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কোন বিষয়ে সঠিক জ্ঞান এবং ভালো উপদেশ দেওয়ার ক্ষমতা
হারিয়ে যায়। নিজের যে কোন বিষয় নিয়ে কিছু ভাবার মতো শক্তি বা বুদ্ধি থাকে না।
বুদ্ধিমত্তার ওপর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে মাদকাসক্ত যুবকের মাথায় সেন্স থাকে
না। কোন একটা বিষয় নিয়ে সমস্যা হলে সেই বিষয়ের ওপর আটকে থাকে। কোন সমস্যা থেকে
বের হতে পারে না। মাথার মধ্যে শুধু একটি সমস্যা নিয়ে চিন্তা থেকে যায়। অতিরিক্ত
চিন্তার কারণে অনেক সময় অতিরিক্ত মাদক সেবন করে থাকে।
মাদকের কারণে শিক্ষা থেকে বিচ্যুতি
মাদকাসক্ত ও যুবকরা শিক্ষা প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এ কারণে অধিকাংশ যুবকরা
স্কুল কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ পড়ে। মাদকের প্রতি আসক্তি তাদের
একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকে বাধা দেয়। এর ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের
দিকে চলে যায়। কোন ব্যাক্তির মধ্যে শিক্ষার আলো না থাকলে শত চেষ্টা করেও সে
ভবিষ্যতে আলোর মুখ দেখতে পাবে না।
শিক্ষা ছাড়া একজন ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এবং সারা দেশ চলতে পারে না।
আর মাদক সেবনের ফলে যুবকদের চিরতরে শিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছা হারিয়ে যায়। অনেক
ক্ষেত্রে পরিবার থেকে জোরপূর্বক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হলেও কোন ফলাফল
পাওয়া যায় না। কারণ কোনকিচু মাথার মধ্যে ধরে রাখার ক্ষমতা মাদক সেবনের ফলে নষ্ট
হয়ে যায়।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে মাদক সেবনের ফলে মানুষ বর্তমান জীবন থকে দুই থেকে এক
দিন অতীত অথবা ভবিষ্যত জীবনে চলে যায়। মাদক সেবনের ফলে ব্রেনে অনেক বড় ক্ষতি
হয়। শিক্ষা অর্জন করতে না পারার কারণে অনেক যুবকের জীবন আজ ধংশ। তাই আমাদের
শিক্ষা অর্জন করতে হবে এবং মাদক থেকে দুরে থাকতে হবে।
মাদকের কারণে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া
মাদকাসক্তির অর্থ জোগাড়ের জন্য অনেক যুবক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।
দৈনন্দিন মাদক সেবনের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হয় তা না পেলে তারা চুরি,
ডাকাতি বা মাদক চোরাচালান এর মত অপরাধ করে বসতে পারে। এর ফলে যুব সমাজের একটি
অংশ আইন-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থেকে আইন এবং সমাজের জন্য বিপদজনক হয়ে
ওঠে।
সাধারণত যারা নিয়মিত মাদক সেবন কারে তাদের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা থাকে না।
পরিবার থেকে মাদকাসক্তদের কোন টাকা পয়সা দেওয়া হয় না। আর যারা মাদকাসক্ত তারা
সময়মত মাদক সেবন করতে না পারলে তাদের মাথায় উল্টা-পাল্টা চিন্তা ভাবনা চলতে
থাকে। টাকার জন্য তারা যেকোন কিছু করতে প্রস্তুত থাকে।
এই কারণে অনেকেই সুযোগ পেলে চুরি করে বসে। কারো বাড়িতে বা বাজারে কোন দোকানে
টাকা বা অন্য কিছু চুরি করে। অনেকেই রয়েছে যারা ডাকাতি পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত
নিয়ে ফেলে। সাধারণ মানুষকে ধরে মারার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে। অনেক ক্ষেত্রে
মানুষ হত্যা করার মতো যঘন্য অপরাধেও লিপ্ত হয়।
মাদকাসক্ত ব্যাক্তিরা শুধু মাত্র মাদক সেবনের জন্য এসকল অপরাধ করে বসে। তাই
বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরা মাদকের বিরুদ্ধে অনেক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ
করছে। মাদকাস্কত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর স্বাস্তির পাশাপাশি তাদের
চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরী।
মাদক সেবনের ফলে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের অবনতি
মাদকাসক্ত যুবকরা পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারে না। মাদকাসক্ত
যুবকরা পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে দূরে সরে যায়। এর ফলে তাদের পারিবারিক এবং
সামাজিক সম্পর্ক দুর্বল হয়ে ওঠে। বর্তমানে সামাজিক কাঠামো নষ্ট হওয়ার সবথেকে
বড় কারণ হলো মাদকাসক্তি। পরিবারের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কারণে একটি পরিবারে
অনেক ধরণের অশান্তি নেমে আসে।
মাদকাসক্ত ব্যাক্তিদের সাথে তার পরিবারে নানা ধেরণের ঝামেলা হয়ে থাকে। সাধারণত
পরিবারের কোন সদস্য যদি তার মাদক সেবন নিয়ে কোন কথা বলে তখন মাদকাসক্ত ব্যক্তি
অনেক রাগান্বিত হয়ে ওঠে। এর ফলে পরিবারে অনেক বড় ধরণের একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়।
পরিবার যখন কোন ধরণের টাকা পয়সা দিতে না চায় তখন তারা পরিবার থেকে আলাদা হয়ে
যায়।
এভাবে সমাজের সকল মানুষের থেকেও আস্তে আস্তে দুরে সরে যায়। কারণ সমাজের সুস্থ্য
স্বাভাবিক মানুষ মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সহ্য করতে পারে না। এছাড়াও বন্ধুত্বের
সম্পর্কেও ফাটল ধরে। বিভিন্ন কারণে অকারণে বন্ধুর সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে।
বন্ধু যদি মাদক সেবন না করে তাহলে এমনিতেই তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।
তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় দুই বন্ধু যখন একই সাথে মাদক সেবন করে তখন তাদের
মধ্যে টাকা পয়সা বা অন্য যে কোন বিষয় নিয়ে সব সময় ঝামেলা লেগে থাকে। এর ফলে
ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা এভাবেই বন্ধু,
পরিবার এবং সমাজ থেকে দুরে সরে যায়। এভাবেই প্রতিনিয়ত যুবকরা ধংশের দিকে ধাবিত
হচ্ছে।
মাদকাসক্তির কারণে অর্থনৈতিক চাপ
মাদকাসক্ত যুবকদের কর্ম ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে কাজের প্রতি কোন
আগ্রহ থাকে না। এর ফলে তারা বেকার হয়ে পড়ে এবং পরিবার ও রাষ্ট্রের উপর
অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে। মাদক সেবনের কারণে চিকিৎসার খরচ, পুনর্বাসন এবং আইনে
জটিলতায়ও অনেক খরচ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে সবথেকে বড় অর্থনৈতিক চাপ পরিবারকে
সহ্য করতে হয়।
আরো পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সহজ কয়েকটি উপায়
তাই আমাদের মাদকাসক্তির প্রতিকার সম্পর্কে জানা দরকার। মাদকাসক্তির প্রতিকার
সম্পর্কে জানলে আমরা এর হাত থেকে নিস্তার পেতে পারি। বাংলাদেশের যুব সমাজকে
রক্ষা করতে হলে মাদকাসক্তির প্রতিকার সম্পর্কে জানা আমাদের অত্যন্ত জরুরী। নিচে
মাদকাসক্তির প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মাদকাসক্তির প্রতিকার
মাদকাসক্তির প্রতিকার সম্পর্কে জানা আমাদের অত্যন্ত জরুরি। মাদকাসক্তি অনেক
জটিল একটি রোগ যা একজন ব্যক্তি ও তার পরিবারকে ধ্বংস করতে পারে। মাদকাসক্তির
প্রতিকার অনেক কঠিন হলেও সঠিক চিকিৎসা ও সহায়তার মাধ্যমে এটি সম্ভব। তবে
আমরা অনেকেই জানিনা মাদকাসক্তির প্রতিকার কি।
মাদকাসক্তির প্রতিকার সম্পর্কে জানা আমাদের অত্যন্ত জরুরী। মাদকাসক্তির
প্রতিকার সম্পর্কে জানতে নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ নিচে
মাদকাসক্তির প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মাদকাসক্তি কি
মাদকাসক্তি হলো এমন একটি শারীরিক ও মানসিক অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি নিয়মিত
এক বা একাধিক মাদকদ্রব্য সেবনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। মাদকদ্রব্যে আসক্ত
ব্যক্তিরা মাদকের প্রতি এতটাই আকৃষ্ট থাকে যে মাদকদ্রব্য ছাড়া তারা স্বাভাবিক
জীবন যাপন করতে পারবে না। মাদক ছাড়া তারা এক ধাপ ও ফেলতে পারবে না।
মাদকের ওপর আসক্ত হলে একজন ব্যক্তি তার জীবনের সকল কিছু ভুলে শুধুমাত্র সেই
মাদকের চিন্তা করে। দিনের মধ্যে যে কোন সময় তার মাদকদ্রব্য লাগবেয়। অনেক
ক্ষেত্রে এমনও দেখা যায় সময় মতো মাদক সেবন করতে না পারায় অনেকে আত্বহত্যা
পর্যন্ত করে বসে। মাদন মানষের মস্তিষ্ক এমন ভাবে পরিচালনা করে যেখানে তারা মাদক
ছাড়া এক মুহুর্ত থাকতে পারবে না।
মাদকাসক্তি মস্তিষ্কের মধ্যে বিষক্রিয়া করে ফেলে। এই কারণে একজন মাদকাসক্ত
ব্যক্তি সব সময় মাদক সেবন করতে চায়। ভালো মন্দো যাচাই বাছাই করার মতো ক্ষমতা
তাদের মস্তিষ্কে থাকে না। তবে অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে মানুষের মৃত্যুও হতে
পারে। কিছু কিছু মাদকদ্রব্য রয়েছে যেগুলো নিয়মিত প্রতিদিন সেবন করলে মানুষ
মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
মাদকের প্রতিকার
মাদকাসক্তির প্রতিকার এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে
ধীরে ধীরে মাদকের উপর নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। মাদকাসক্তির
প্রতিকার একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং ধৈর্যপূর্ণ প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে শারীরিক,
মানসিক এবং সামাজিক পুনর্বাসনের সমন্বয় করা হয়। বিভিন্নভাবে মাদকাসক্তির
প্রতিকার করা যায়। মাদকাসক্তির প্রতিকারের বিভিন্ন ধাপ গুলো হল:
- চিকিৎসার মাধ্যমে মাদকাসক্তির প্রতিকার
- মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সিলিং
- পুনর্বাসন (Rehabilitation)
- সামাজিক পুনরায় অন্তর্ভূক্তি
- আইনগত ও সামাজিক ব্যবস্থা
চিকিৎসার মাধ্যমে মাদকাসক্তির প্রতিকার
সঠিক নিয়মে চিকিৎসা করে মাদকাসক্তির প্রতিকার করা সম্ভব। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদী
একটি চিকিৎসা। দুইভাবে চিকিৎসা করে মাদকাসক্তির প্রতিকার করা যায়। তবে সঠিক
নিয়মে যদি চিকিৎসা করা না হয় তাহলে এ থেকে কোন ফলাফল পাওয়া যাবে না।
চিকিৎসার মাধ্যমে মাদকাসক্তের প্রতিকারের দুইটি পদ্ধতি হলো ডিটক্সিফিকেশন এবং
ঔষধ ব্যবহার।
ডিটক্সিফিকেশন: ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া মাদকাসক্ত ব্যক্তির শরীর বিষক্রিয়া
থেকে মুক্ত করে। এটি মাদকাসক্ত ব্যক্তির শরীর থেকে মাদকের অবশিষ্টাংশ দূর করে
এবং তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করতে সহায়তা করে। চিকিৎসকদের নির্দেশমতো
ওষুধ এবং পরামর্শের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
ঔষদ ব্যবহার: মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে এবং শারীরিক সমস্যা মোকাবেলা করতে
বিশেষ কিছু ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও মাদকাসক্তির কারণে হওয়া মানসিক
সমস্যার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এতে ধীরে ধীরে
মাদকাসক্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।
মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সিলিং
মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ও কাউন্সিলিং এর মধ্যে রয়েছে বিহেভিয়ারাল থেরাপি,
কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি ও গোষ্ঠী থেরাপি। এই তিনটি থেরাপির মাধ্যমে মানসিক
স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সিলিং করা হয়। মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ও কাউন্সিলিংয়ের
মাধ্যমে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়।
বিহেভিয়ারাল থেরাপি: মাদকাসক্তদের জন্য মানসিক থেরাপি এবং পরামর্শদান
অত্যন্ত কার্যকর।এর মাধ্যমে তাদের আচরণগত সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। আচরণগত সমস্যা
চিহ্নিত করে খুব সহজেই সেগুলো দূর করা যায়।
কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি: এই থেরাপির মাধ্যমে মাদক গ্রহণের কারণ এবং
এর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ব্যক্তি সচেতন হয়। এর ফলে ধীরে ধীরে তাদের আচরণ
পরিবর্তন করা হয়।
গোষ্ঠী থেরাপি: গোষ্ঠীভিত্তিক পরামর্শদানের মাধ্যমে মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা
তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন। এতে তাদের মাদক থেকে দূরে থাকার ক্ষেত্রে
অনুপ্রেরণা দেয়।
পুনর্বাসন (Rehabilitation)
মাদকাসক্তদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ পুনর্বাসন
কেন্দ্র প্রয়োজন। এখানে তাদের শারীরিক এবং মানসিক পুনর্বাসনের পাশাপাশি
সামাজিক দক্ষতা উন্নয়নে ও সহায়তা করা হয়। পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোতে
মাদকাসক্তদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এতে তারা
সমাজে পুনরায় কাজ করতে সক্ষম হয়।
এই প্রক্রিয়ায় একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে সব সময় একটি নির্দিষ্ট নিয়ম এর মধ্যে
রাখা হয়। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সকল কিছু নিয়মতান্ত্রিক ভাবে চলতে থাকে।
মাদকাসক্তদের চিকিৎসাও এভাবেই হতে থাকে। এখানে মাদকাসক্তদের বিভিন্ন ধরণের ঔষধ
খাওয়ানো হয়। তবে যারা মাদকে মারাত্বকভাবে আসক্ত তাদের ঔষধের পাশাপাশি স্বল্প
পরিমাণে মাদক দেওয়া হয়।
এর কারণ হলো কিছু কিছু মাদকদ্রব্য আছে যেগুলোতে আসক্ত ব্যক্তিরা যদি উক্ত মাদক
সেবন করতে না পারে তাহলে তাদের মৃত্যু হতে পারে। এই কারণে আস্তে আস্তে তাদের
এটা থেকে মুক্ত করা হয়। হঠাৎ করে বাদ দিয়ে দিলে আসক্ত ব্যক্তির মৃত্যু হবে। তবে
চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে বিভিন্ন ধরণের কাজ করার প্রশিক্ষণ
দেওয়া হয়।
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেন যে কোন ধরণের কাজ করে জীবিকা-নির্বাহ করতে পারে তার
জন্য বিভিন্ন ধরণের কাজ শেখানো হয়। এতে করে তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে অনেক
সহায়তা হয়। তাই মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের অনেক প্রয়োজন রয়েছে।
সামাজিক পুনরায় অন্তর্ভূক্তি
সামাজিক পুনরায় অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়ায় মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সমাজে
পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়। পরিবার এবং সমাজের সমর্থন মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে
পুনরায় সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করে। পুনর্বাসনের পর তাদের কাজ এবং
সামাজিক জীবনে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে তারা
পুনরায় মাদকাসক্ত হতে পারে না।
সমাজে সুস্থ-সবল মানুষের সাথে চলাফেরা করলে পরিবার থেকে সাপোর্ট পেলে তারা খুব
সহজেই স্বাভাবিক জীবনে মানিয়ে নিতে পারবে। তাই সামাজিক পুনরায় অন্তর্ভূক্তির
প্রয়োজন রয়েছে। সকলের সাথে মিলে মিশে না চললে বা একা একা চলাফেরা করলে আবারো
মাদকে আসক্ত হওয়ার ঝুকি থাকে। তাই সামাজে এবং পরিবারের লোকদের এই বিষয়ে সচেতন
হওয়া উচিত।
আইনগত ও সামাজিক ব্যবস্থা
মাদকের অবৈধ বাণিজ্য ও সহজলভ্যতার রোধে কঠোর আইনে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম, স্কুল কলেজ ও সামাজিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে মাদকের ক্ষতিকর
প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন। এর ফলে সকলে আগে থেকেই
মাদকাসক্তের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে অভিহিত হবে।
যে সকল ব্যক্তিরা মাদকের অবৈধ ব্যাবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণ
অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে মাদকদ্রবের ব্যাবসা ব্যাপক হারে বেড়েই চলেছে। অবৈধভাবে
ব্যাবসা বাড়ার কারণে খুব সহজেই মাদক সেবনকারীরা মাদকদ্রব্য পাচ্ছে। মাদকদ্রব্য
হাতের নাগালে সবসময় থাকার কারণে না চাইলেও অনেকে মাদকে আসক্ত হয়ে উঠছে।
মাদক প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকা
মাদক প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী।
পরিবারই একজন শিশুর প্রথম সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এখানে তাদের মূল্যবোধ আচরণ ও
নৈতিক শিক্ষা গড়ে ওঠে। পরিবারের সঠিক দিকনির্দেশনা ও সমর্থন একজন শিশুকে
মাদক থেকে দূরে রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মাদক প্রতিরোধে
পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম।
পরিবারের একটি সুশৃংখল ও সহানুভূতিশীল পরিবেশ মাদক প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা
পালন করে। সন্তানের মধ্যে একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে
যেখানে তারা তাদের সমস্যা এবং চাহিদাগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারে।
পরিবারের যদি সুসম্পর্ক এবং ইতিবাচক যোগাযোগ থাকে তবে সন্তানরা মাদক বা ক্ষতিকর
কাজের দিকে ঝুকবে না।
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাদকাসক্তির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো
গুরুত্বপূর্ণ। একটি পরিবারে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং মাদকাসক্তির প্রতিকার
সম্পর্কে আলোচনা করা উচিত। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মাদকের প্রতিকূল প্রভাব
সম্পর্কে জানিয়ে তাদের জীবনধারা ও সিদ্ধান্ত সঠিক নির্দেশনা দিতে পারেন।
সন্তানদের সাথে খোলামেলা আলোচনা এবং মানসিক সমর্থন প্রদান মাদক প্রতিরোধে
কার্যকর হতে পারে। সন্তানদের যদি মনে হয় তারা পরিবারের কাছ থেকে মানসিক সমর্থন
পাচ্ছে এবং তাদের সমস্যার কথা বলতে পারছে তাহলে তারা মাদকের দিকে ঝুকবে না।
সন্তানদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং মাদক থেকে দূরে থাকার মানসিক শক্তি গড়ে তুলতে
হবে।
পরিবারে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা এবং সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা ও যত্ন প্রদর্শন
করতে হবে। পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা, অবহেলা বা মানসিক অশান্তি অনেক সময়
মাদকাসক্তির দিকে ঠেলে দিতে পারে। পরিবারের সবার মধ্যে ভালো সম্পর্ক এবং সুস্থ
সামাজিক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
সন্তানরা কার সাথে মেলামেশা করছে, কোথায় যাচ্ছে এবং কি করছে? এগুলো পরিবারের
সদস্যদের জানার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে কিশোর বা তরুণদের চলাফেরা
বন্ধু-বান্ধবের পরিচয় এবং কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে যাতে তারা
মাদকের খারাপ প্রভাব থেকে দূরে থাকে।
পিতা মাতা বা পরিবারের বড়রা যদি নিজেদের আচরণে সতর্ক থাকে তাহলে সন্তানরা ও
তাদের অনুসরণ করে সঠিক পথ চলবে। পরিবারের সদস্যদের নিজে মাদক থেকে দূরে থাকা
এবং এর বিরুদ্ধে সচেতন থাকা একটি ইতিবাচক উদাহরণ সৃষ্টি করে। পরিবারের মধ্যে
কঠিন শৃঙ্খলা এবং নিয়ম-কানুন প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
সন্তানদের মাদকের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া রোধে অভিভাবকদের এবং সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে
হবে। তবে এটি এমনভাবে করতে হবে যাতে সন্তানরা মনে করে না যে তারা বেশি
নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বরং এটা তাদের সুরক্ষার জন্য। সন্তানের যদি কোন মানসিক
সমস্যা থাকে বা তারা মাদকাসক্তির দিকে ধাবিত হয় তখন পরিবারের উচিত পেশাদার
পরামর্শদাতা বা থেরাপিস্টের সাহায্য নেওয়া।
মাদকাসক্তি নিরাময়ে শিক্ষকের ভূমিকা
মাদকাসক্তি নিরাময়ে শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার শিক্ষকরা সকল
শিক্ষার্থীদের জীবনের মডেল এবং গাইড হিসেবে কাজ করেন। শিক্ষকরা মাদকাসক্তির
খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে পারেন।
প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী আলোচনা, সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ আয়োজনের
মাধ্যমে মানবদেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং মাদকাসক্তির প্রতিকার সম্পর্কে
আলোচনা করতে পারেন।
শিক্ষকরা ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে যদি আগে থেকে
সচেতন করে তাহলে তারা ভুল পথে যাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো একটি শিক্ষার্থীর
জীবনে সব থেকে বড় শিক্ষা অর্জনের জায়গা। তাই প্রতিটি শিক্ষককে এই বিষয়ের ওপর
গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভূল পথ থেকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
অনেকেই জানেন না মানবদেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব কিভাবে পড়ে। নিজের অজান্তেই
মাদকদ্রব্য সেবন করে শারিরীক ও মানসিক অনেক ক্ষতি সাধন করে। তাই এই আর্টিকেলের
মধ্যে মানবদেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং মাদকের প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে।
comment url