কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কলা খাওার ১০টি উপকারিতা

প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। তবে আমাদের মধ্যে অনেকে জানেন না কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি। আপনি যদি কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে।
কলা-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
কারণ এই আর্টিকেলের মধ্যে প্রতিদিন কলা খেলে আমাদের শরীরে যে ধরনের উপকার এবং অপকার হবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিদিন কলা খেলে যে উপকার এবং অপকার হবে তা জানতে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সুচিপত্র

প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেকগুলো রয়েছে। কলা অনেক পুষ্টিকর একটি ফল। বছরের সবসময়ই আমরা কলা দেখতে পাই। এবং বাজারে খুবই সুলভ মূল্যে কলা কিনতে পাওয়া যায়। কলা খেলে আমাদের শরীরে অনেক উপকার হয়। তবে কলা একটি পুষ্টিকর ফল হওয়া সত্বেও অতিরিক্ত কলা খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
তবে অনেকে জানেন না কলা খেলে আমাদের শরীর কি ধরনের উপকার হয় এবং কি ধরনের অপকার হয়। তাই অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে এসে প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। প্রতিদিন কলা খেলে আমাদের শরীরে কি ধরনের উপকার হবে এবং কি ধরনের অপকার হতে পারে তার সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

নিয়মিত কলা খাওয়ার ১০টি উপকারিতা

নিয়মিত কলা খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়। তবে অনেকে জানেন না নিয়মিত কলা খেলে আমাদের শরীরে কি ধরনের উপকার হতে পারে। তাই কলা খাওয়ার দশটি উপকারিতা সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো:
  • কলা প্রাকৃতিকভাবে কার্বোহাইড্রেট, বিশেষত গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজে সমৃদ্ধ, যা দ্রুত শক্তি যোগায়। তাই এটি ব্যায়াম করার আগে বা পরে খাওয়া বেশ উপকারী।
  • কলায় থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার পেটের জন্য খুব ভালো।
  • কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • কলায় থাকা ট্রিপটোফ্যান শরীরে সেরোটোনিন উৎপাদন বাড়ায়, যা মস্তিষ্কে মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে এবং স্ট্রেস কমায়।
  • কলায় আয়রন রয়েছে, যা হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) প্রতিরোধ করে।
  • কলার ভিটামিন এ, বি, এবং ই ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করে। এটি ব্রণ ও শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কমায়।
  • পটাশিয়াম ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে, যা হাড়কে শক্তিশালী করে।
  • কলা খেলে পেট ভরা অনুভূত হয়, যা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়। এটি ওজন কমাতে সহায়ক।
  • পটাশিয়াম কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
  • কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

সকালে কলা খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কলা খুব সহজেই হজম হয় এবং শরীরের শক্তি যোগায়। প্রতিদিন সকালে কলা খেলে আমাদের শরীরে অনেক উপকার হয়। সকালে খালি পেটে কলা খেলে শরীরের দ্রুত শক্তি আসে। কলার মধ্যে প্রাকৃতিক চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট ভরপুর থাকে। এর ফলে সারাদিন শরীরে এনার্জি ধরে রাখে।

এছাড়াও কলায় থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে অনেক উন্নত করে। এর ফলে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায়। কলায় থাকা ফাইবার হজম শক্তিকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। কলা খেলে আমাদের শরীরে সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরে স্ট্রেস কমে যায় এবং মন ভালো থাকে। সারা দিনের সকল কাজের চাপের মধ্যে মনকে শান্তি দিতে এটি অনেক সাহায্য করে।

কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। কলায় থাকা পটাশিয়ামের কারণে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে। আপনি যদি সকালে খালি পেটে একটি কলা খেয়ে নেন তাহলে সারাদিন আপনার রক্তচাপ স্থিতিশীল থাকতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে কলা খাওয়া খুবই উপকারী। আপনি চাইলে যে কোন জাতের একটি কলা সকালে খালি পেটে খেয়ে নিতে।

সকালে খালি পেটে বিভিন্ন জাতের কলা খেলে আমাদের শরীরে এই ধরনের উপকার গুলো হতে পারে। তাই আমাদের সকলেরই প্রতিদিন সকালে নিয়মিত খালি পেটে কলা খাওয়া উচিত। তবে উপরে উল্লেখিত উপকার গুলো ছাড়াও আরো অনেক উপকার আমাদের শরীরে হয়। তাই সকালে খালি পেটে কলা খাওয়া অনেক ভালো একটি অভ্যাস হতে পারে।

কলা খাওয়ার অপকারিতা

কলা-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
যদিও কলা খাওয়া স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর, অতিরিক্ত বা অনিয়মিতভাবে খেলে কিছু নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রায় কলা খেলে আমাদের শরীরে যে ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো: 

কলায় প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ) বেশি থাকায় এটি অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতিরিক্ত কলা খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কলা ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ ফল। নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। 

পটাশিয়াম বেশি থাকায় অতিরিক্ত কলা খেলে হাইপারক্যালেমিয়া (রক্তে পটাশিয়ামের অতিরিক্ত উপস্থিতি) হতে পারে। এর ফলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, পেট ব্যথা, এমনকি হার্টের সমস্যা হতে পারে। কলায় দ্রবণীয় ফাইবার বেশি থাকে, যা অতিরিক্ত খেলে পেট ফেঁপে যাওয়া বা গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়াও আরো ক্ষতিকর দিক নিচে উল্লেখ করা হলো: 
  • অতিরিক্ত কলা খেলে দাঁতের ক্ষতি করতে পারে।
  • অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা দেখা দিতে পারে। 
  • অতিরিক্ত হজম সমস্যার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। 
  • অনেকে বেশি পরিমাণে কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার সমস্যায় ভুগতে পারেন।
  • অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম শোষণ ব্যাহত হতে পারে। 

সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

সাগর কলা (Plantain) দেখতে সাধারণ কলার মতো হলেও স্বাদে ও গুণে কিছুটা ভিন্ন। এটি মূলত রান্না করে খাওয়া হয় এবং বেশ পুষ্টিকর। নিচে সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো:

সাগর কলার উপকারিতা

সাগর কলা খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার হতে পারে। তবে অনেকেই জানে না সাগর কলা খেলে আমাদের শরীরে কি ধরনের উপকার হতে পারে। নিয়মিত সাগর কলা খেলে আমাদের শরীরে যে সকল উপকার হতে পারে সে সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিচে সাগর কলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হলো: 
  • সাগর কলা পটাশিয়ামে ভরপুর, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে।
  • এতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • সাগর কলায় ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
  • এতে আয়রন রয়েছে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া) প্রতিরোধ করে।
  • সাগর কলা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
  • সাগর কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয় না। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী হতে পারে।
  • সাগর কলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

সাগর কলার অপকারিতা

সাগর কলা একটি পুষ্টিকর খাদ্য হওয়া সত্ত্বেও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এর অনেক অপকারিতা হতে পারে। অতিরিক্ত সাগরকলা খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই আমাদের অতিরিক্ত সাগর কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত সাগর কলা খেলে আমাদের শরীরে যে ধরনের সমস্যা হতে পারে তা নিজে উল্লেখ করা হলো: 
  • অতিরিক্ত সাগর কলা খাওয়ার ফলে ফাইবার বেশি হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
  • রান্না করা সাগর কলায় ক্যালোরি বেশি থাকে, যা অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়াতে পারে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য পরিমিত খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • কাঁচা সাগর কলা কিছু ক্ষেত্রে হালকা বিষাক্ত হতে পারে এবং হজমে সমস্যা করতে পারে, তাই এটি সাধারণত সেদ্ধ বা ভাজা অবস্থায় খাওয়া হয়।
  • পটাশিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হাইপারক্যালেমিয়া (রক্তে অতিরিক্ত পটাশিয়াম) হতে পারে, যা হার্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • ভাজার সময় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে সাগর কলার স্বাস্থ্যগুণ কমে যেতে পারে এবং কোলেস্টেরল বাড়তে পারে।

বেশি কলা খেলে কি হয়

বেশি কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও কলা পুষ্টিগুনে ভরপুর এরপরও অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত কলা খেলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশি কলা খেলে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। কলায় প্রচুর ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে এর ফলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি অনেক সহজে হতে পারে।
এছাড়াও কলার প্রাকৃতিক শর্করা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে ডায়াবেটিস হতে পারে এবং যে সকল রোগীর আগে থেকে ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য অনেক বিপদজনক হতে পারে। অতিরিক্ত ফাইবারের কারণে পেট ফাঁপা, গ্যাস, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে বেশি পটাশিয়াম ডায়রিয়ার কারণও হতে পারে।

খুব বেশি কলা খেলে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে। এর ফলে শরীরে দুর্বলতা অনুভব হতে পারে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়াও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় বা কমে যায়। এছাড়াও কলার প্রাকৃতিক শর্করা দাঁতের উপর জমে গেলে ক্যাভিটি ও দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। বিশেষ করে যদি খাওয়ার পর মুখ পরিষ্কার না করা হয় তাহলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।

বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

বিচি কলা (Seeded Banana) দেখতে সাধারণ কলার মতো হলেও এতে ছোট, শক্ত বীজ থাকে। এটি সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় পাওয়া যায় এবং এর কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাওয়া কিছু সমস্যাও তৈরি করতে পারে। নিচে বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা উল্লেখ করা হলো। 

বিচি কলার উপকারিতা 

বিচি কলা অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল। বিচি কলা খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার দেখা দিতে পারে। নিয়মিত বিচি কলা খাওয়া একটি ভালো অভ্যাস হতে পারে। তবে আমাদের মধ্যে অনেকে জানে না নিয়মিত বিচি কলা খেলে আমাদের শরীরে কি ধরনের উপকার হতে পারে। নিয়মিত বিচি কলা খেলে আমাদের শরীরের যে ধরনের উপকার হতে পারে তা উল্লেখ করা হলো: 
  • বিচি কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, বি৬, এবং পটাশিয়াম থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। 
  • এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
  • তুমি আমারভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরে ফ্রি-র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
  • বিচি কলার পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে, যা হাড় শক্তিশালী রাখতে সহায়ক।
  • পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

বিচি কলার অপকারিতা

বিচি কলার অনেক অপকারিতা রয়েছে। আমরা উপরে বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলেও বিচি কলা খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের যে সকল অপকারিতা হতে পারে তা সম্পর্কে জানিনা। বিচি কলা খেলে আমাদের শরীরে যে ধরনের অপকারিতা হতে পারে তা নিচে উল্লেখ করা হলো: 
  • বিচি কলার শক্ত বিচি হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং খেলে অনেক সময় পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে, বিশেষত যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য।
  • বিচিগুলো শক্ত হওয়ায় কামড়ানোর সময় দাঁতে আঘাত লাগতে পারে এবং দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।
  • কিছু মানুষের জন্য বিচি কলা খেলে অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতার সমস্যা হতে পারে, যার ফলে চুলকানি, ত্বকে ফোলা বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
  • বিচি কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলা-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
কাঁচা কলা (Raw or Green Banana) পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। এটি ভাজা, সেদ্ধ, বা ভর্তা করে খাওয়া হয়। নিচে এর উপকারিতা তুলে ধরা হলো:

কাঁচা কলার উপকারিতা

কাঁচা কলা খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকারিতা হতে পারে এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান।কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানায় অনেকেই বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। অনেকেই চিন্তা করেন কলা পাকা খাওয়া উচিত নাকি কাঁচা। কাঁচা কলা খেলে আমাদের শরীরে যে ধরনের উপকার হতে পারে তা নিচে উল্লেখ করা হলো: 
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • ওজন কমাতে সহায়ক
  • প্রোবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ
  • অ্যাসিডিটি কমায়
  • পেশী শক্তিশালী করে
কাঁচা কলার অপকারিতা
কাঁচা কলা খেলে উপকারিতার পাশাপাশি অনেক অপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন অতিরিক্ত কাঁচা কলা খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কাঁচা কলা খেলে আমাদের শরীরে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা সম্পর্কে জেনে রাখা আমাদের অত্যন্ত জরুরী। নিচে কাঁচা কলার অপকারিতা উল্লেখ করা হলো: 
  • কঠিনভাবে হজম হয়
  • গ্যাস ও পেট ফাঁপার ঝুঁকি
  • ডায়রিয়ার ঝুঁকি থাকে 
  • অতিরিক্ত পটাশিয়াম গ্রহণে হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে।
  • অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে

লেখকের মন্তব্য

প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এই আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলের মধ্যে কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল কিছু আলোচনা করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

comment url