ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে


বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগ অনেক আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় সকল অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগ দেখা দিচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ অনেক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাই অনেকেই ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানাই অনেকেই বিভিন্ন ধরনের চিন্তায় পড়ে যাচ্ছেন।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার
তাই আজকে এই আর্টিকেলের মধ্যে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ যদি আপনার মধ্যে থেকে থাকে তাহলে আতঙ্কিত না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করলে আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন। অনেকেই জোনেন না কি কারণে ডেঙ্গু জ্বর হয়। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ জানার আগে আপনার ডেঙ্গু রোগের কারণগুলো জানার প্রয়োজন রয়েছে। নিচে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এবং কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো। 

ডেঙ্গু রোগের কারণ

অনেকেই অনলাইনে ডেঙ্গু রোগের কারণ সম্পর্কে জানতে চান। ডেঙ্গু রোগের কারণ হলো মশার কামড়। এডিস মশার কামড় হচ্ছে ডেঙ্গু রোগের প্রধান কারণ। যারা ডেঙ্গু রোগের কারণ সম্পর্কে কিছুই জানেন না তারা নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়লে ডেঙ্গু রোগের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আরো পড়ুন: গ্যাসের কারণে অতিরিক্ত পেট ব্যাথার সমাধান মাত্র ১ মিনিটেই  

ডেঙ্গু রোগের কারণ হলো ডেঙ্গু ভাইরাস। এডিস মশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস অ্যালবোপিক্টাস মশা ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে থাকে। এই মশাগুলো মূলত দিনের বেলা কামড়ায়। বিশেষ করে সকালে এবং সন্ধ্যায় এই মশাগুলো বেশি দেখা যায়। মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাসটি রক্তে প্রবেশ করে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি ডেঙ্গু জ্বরে ভুগতে শুরু করে।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
বর্তমানে অনেকেই অনলাইনে এসে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান। বিশেষ কয়েকটি লক্ষণের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ সনাক্ত করা যায়। খুব সহজেই ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ আপনি বুঝতে পারবেন। আপনার শরীরে বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ডেঙ্গু হয়েছে। তবে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখা দিলে চিন্তার কিছু নেই। নিচে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেওয়া হলো।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলো সাধারণত মশার কামড়ের ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দেখা দেয়। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ তীব্রতা, রোগীর বয়স, শরীরের অবস্থা এবং ডেঙ্গু ভাইরাসের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। ডেঙ্গু রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:
  • হঠাৎ করে উচ্চ মাত্রার জ্বর (১০৪°F বা ৪০°C)।
  • মারাত্মক মাথাব্যথা, বিশেষ করে কপালের আশপাশে।
  • চোখের পিছনে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়।
  • সারা শরীরের পেশি এবং গিরায় তীব্র ব্যথা (ব্রেকবোন ফিভার)।
  • রোগীর ক্ষুধামন্দা হয় এবং বমি বা বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লালচে দাগ বা র‍্যাশ দেখা যায়।
  • রোগীর প্রচণ্ড ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভূত হয়।
  • গুরুতর ক্ষেত্রে নাক বা মাড়ি থেকে রক্তপাত হতে পারে, এবং কখনও কখনও চামড়ার নিচে রক্ত জমাট বেঁধে কালো দাগ দেখা যায়।

ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার

যে সকল রোগী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় তারা ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাই। অনেকেই ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে না জানাই অনেক আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার অনেক সহজ। বিভিন্নভাবে ডেঙ্গু রোগ প্রতিকার করা যায়। নিচে ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো।

ডেঙ্গু রোগের সরাসরি কোনো প্রতিকার বা নির্দিষ্ট কোন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। ডেঙ্গু ভাইরাসের চিকিৎসা মূলত লক্ষণ অনুযায়ী করা হয় এবং রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রতিরোধের ওপর জোর দিয়ে চিকিৎসা ও সেবা প্রদান করা হয়। ডেঙ্গু রোগের প্রতিকারের জন্য কিছু প্রধান পদক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো:

প্রচুর পরিমাণে তরল গ্রহণ: রোগীকে প্রচুর পানি, স্যালাইন, ফলের রস, বা ইলেকট্রোলাইটযুক্ত পানীয় পান করানো উচিত। এটি ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে, যা ডেঙ্গুতে সাধারণত হয়ে থাকে।
প্যারাসিটামল দেওয়া: জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল (অ্যাসিটামিনোফেন) দেওয়া হয়। তবে এসপিরিন বা ইবুপ্রোফেন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ এড়ানো উচিত, কারণ এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
বিশ্রাম নেওয়া: রোগীকে যথেষ্ট বিশ্রাম নিতে হবে যাতে শরীর দ্রুত সুস্থ হতে পারে।
রোগীর লক্ষণ পর্যবেক্ষণ: ডেঙ্গুর গুরুতর লক্ষণগুলোর (যেমন: প্লেটলেট সংখ্যা কমে যাওয়া, রক্তক্ষরণ) ওপর নজর রাখতে হবে। যদি রোগীর অবস্থা অবনতি হয়, তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।
হাসপাতালে চিকিৎসা (গুরুতর ক্ষেত্রে): গুরুতর ডেঙ্গু (ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম) হলে, হাসপাতালের বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, যেখানে স্যালাইন, রক্তক্ষরণের জন্য ওষুধ, এবং কখনও কখনও রক্তদান বা প্লেটলেট সরবরাহ প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো এডিস মশার কামড় এড়ানো। এর জন্য:
  • মশার ধোঁয়া ব্যবহার করা।
  • মশার জাল ব্যবহার করা।
  • শরীর ঢেকে রাখার মতো পোশাক পরা।
  • বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা, বিশেষ করে জমে থাকা পানিতে মশা জন্মাতে না দেওয়া।
  • মশার জন্মস্থান ধ্বংস করা, যেমন: ফুলের টব, বদ্ধ পানি, বা খোলা জায়গার কন্টেনার পরিষ্কার রাখা।
টিকা: কিছু দেশে ডেঙ্গুর জন্য টিকা রয়েছে, যেমন Dengvaxia, তবে এটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যবহৃত হয়। এই টিকা শুধুমাত্র তাদের জন্য কার্যকর, যারা ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

ডেঙ্গু জ্বরে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে লক্ষণগুলো সাধারণত বেশি তীব্র হতে পারে। গুরুতর জটিলতাও দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। প্রথমবারের সংক্রমণ সাধারণত ডেঙ্গু ভাইরাসের একটি ধরন থেকে হয়। তবে দ্বিতীয়বারের সংক্রমণ অন্য ধরন থেকে হতে পারে। এতে রোগীর ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম (DSS) হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: 
  • সাধারণ লক্ষণ (যেগুলো প্রথমবারের মতো হতে পারে)
  • উচ্চ জ্বর ১০৪°F বা তার বেশি।
  • মারাত্মক মাথাব্যথা।
  • চোখের পিছনে ব্যথা।
  • সারা শরীরের পেশি এবং গিরায় তীব্র ব্যথা।
  • বমি বা বমি বমি ভাব।
  • শরীরে র‍্যাশ।
  • গুরুতর লক্ষণ (দ্বিতীয়বারে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ)
  • নাক, মাড়ি বা প্রস্রাবের সাথে রক্ত যেতে পারে। ত্বকের নিচে রক্ত জমে কালো দাগ দেখা যায়।
  • প্লেটলেট সংখ্যা বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে সমস্যা হতে পারে।
  • রক্তনালির ভেতর থেকে তরল লিক হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে জমা হতে পারে, যা শ্বাসকষ্ট বা পেট ফোলার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • রক্তচাপ হঠাৎ কমে গিয়ে শক হতে পারে, যা জীবননাশের কারণ হতে পারে।
  • গুরুতর ডেঙ্গুতে লিভার, হার্ট, বা অন্যান্য অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।
দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং প্লেটলেট সংখ্যা ও অন্যান্য লক্ষণ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা খুবই জরুরি।

ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে

ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে
অনেকে জানতে চান ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে। ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে এটি নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছুদিন কম-বেশি ডেঙ্গু জ্বর থাকতে পারে। তবে ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়। কিছু ক্ষেত্রে জ্বর কমে যাওয়ার পরও দুর্বলতা ও ক্লান্তি আরও কিছুদিন থাকতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ধাপ থাকে:

জ্বরের ধাপ (Febrile Phase)
  • প্রথম ২-৭ দিন উচ্চ জ্বর থাকে (১০৪°F বা ৪০°C পর্যন্ত)।
  • এই সময় মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, পেশি ও গিরায় ব্যথা, বমি বমি ভাব, এবং র‍্যাশ দেখা দেয়।
  • এটি ডেঙ্গুর প্রথম ধাপ এবং সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে জ্বর কমে আসে।
গুরুতর ধাপ (Critical Phase)
জ্বর কমে যাওয়ার পর (৩-৭ দিন) গুরুতর ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বিপজ্জনক সময় শুরু হয়। এই সময়ে রক্তক্ষরণ, প্লেটলেট সংখ্যা কমে যাওয়া, এবং তরল জমে গিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাজ ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গুরুতর ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে এই ধাপটি ২৪-৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 
পুনরুদ্ধার ধাপ (Recovery Phase):
  • গুরুতর ধাপ কাটিয়ে উঠলে রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করে।
  • শরীরের শক্তি ফিরে আসে, কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
  • সাধারণত, ১-২ সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো সম্পূর্ণরূপে চলে যায়, তবে ক্লান্তি আরও কিছুদিন থাকতে পারে। রোগী যদি সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পায় তাহলে জ্বর খুব সহজেই ভালো হয়ে যাবে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে

ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরে অনেক পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজন হয়। অনেকেই ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে তা না জানায় ভুলভাল খাদ্য খেয়ে শরীর আরও দুর্বল করে ফেলে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পানি ও পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করে। ডেঙ্গু জ্বরের সময় যে খাবারগুলো খেতে হবে তা হলো:

প্রচুর পরিমাণে পানি পান: ডেঙ্গুতে ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা) খুব সাধারণ। তাই শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকা জরুরি। প্রচুর পরিমাণে পানি, স্যালাইন, ডাবের পানি, ইলেকট্রোলাইট সলিউশন ইত্যাদি পান করতে হবে।
ফল এবং ফলের রস: পেঁপের পাতা বা জুস প্লেটলেট সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে বলে ধারণা করা হয়।কমলালেবু, আনারস, মাল্টা: ভিটামিন C সমৃদ্ধ ফল ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। ডাবের পানি শরীরকে দ্রুত হাইড্রেট করে এবং পটাসিয়াম সরবরাহ করে। আঙুরের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ডেঙ্গুর সময়ে ভালো। 
শাকসবজি ও স্যুপ: সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, ব্রকলি, বা অন্যান্য সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল থাকে যা রক্তে আয়রন এবং প্লেটলেট বাড়াতে সাহায্য করে। হালকা সবজির স্যুপ  পুষ্টি সরবরাহ করে এবং হজমে সহায়তা করে।
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার: ডিম প্রোটিন ও ভিটামিনের ভালো উৎস। মাছ এবং মুরগির স্যুপ সহজপাচ্য প্রোটিন সরবরাহ করে। দুধ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সরবরাহ করে, যা শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।
কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার: ভাত, রুটি সহজে হজমযোগ্য কার্বোহাইড্রেট, যা শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক। ওটস বা খিচুড়ি হালকা এবং সহজপাচ্য খাবার হিসেবে উপকারী। 
প্রবায়োটিক খাবার: দই শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং হজমে সহায়তা করে।
মধু: মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ: চর্বিযুক্ত খাবার ও ফাস্ট ফুড: এগুলো হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। মশলাযুক্ত ও তেলে ভাজা খাবার পাকস্থলীর সমস্যা এবং বমি বমি ভাব বাড়াতে পারে। এই সময়ে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভালো যাতে শরীর দ্রুত সুস্থ হতে পারে। 

লেখকের মন্তব্য

ডেঙ্গু একটি মারাত্মক রোগ। তবে ডেঙ্গু রোগ হলে আতঙ্কিত না হয়ে এর প্রতিকার করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিলে ডেঙ্গু রোগ প্রতিকার করা অনেক সহজ। ইতোমধ্যে আপনারা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জেনেছেন।

যারা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক সাহায্যজনক। কারণ এই আর্টিকেলের মধ্যে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত সকল কিছু আলোচনা করা হয়েছে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

comment url