পেটে গ্যাস হলে করণীয় কী


গ্যাসের কারণে পেট ব্যথা খুব সাধারণ একটি সমস্যা এবং এটি সাধারণত খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা এবং কিছু শারীরিক অবস্থার কারণে হতে পারে। ছোট বড় সকল বয়সের ছেলে মেয়ে সবার এই সমস্যা হয়ে থাকে। গ্যাসের কারণে পেট ব্যাথা বর্তমানে প্রতি ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস এর কারণে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। নিচে গ্যাসে পেট ব্যাথা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

পেটের গ্যাস কি? 

পেটের গ্যাস হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের (জিআই ট্র্যাক্ট) অভ্যন্তরে জমে থাকা বাতাস বা গ্যাস। এটি সাধারণত খাবার হজমের সময় এবং শ্বাসের সময় বায়ু গ্রাসের মাধ্যমে তৈরি হয়। আমরা যেসকল খাদ্য খাই এইসব খাদ্যের জন্য গ্যাস হয়ে থাকে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে। তবে প্রধাণত খাদ্যের কারণে গ্যাস হয়ে থাকে। পেটে গ্যাস হওয়ার প্রধান কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো: 

পেটে গ্যাস হওয়ার কারণ 

পেটে গ্যাস হওয়ার কারণগুলি বিভিন্ন হতে পারে এবং এটি সাধারণত নিম্নলিখিত কারণে ঘটে:

  1. খাদ্যাভ্যাস:

    • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: অধিক ফাইবারের খাবার যেমন শাক-সবজি, লাল ডাল, খোসা ভাত ইত্যাদি হজমানী প্রক্রিয়ায় ব্যতিত হওয়ার কারণে গ্যাস গঠন হয়ে থাকে।
    • কার্বনেটেড পানি বা কোলা: যেমন কোলা, সোডা ইত্যাদি যেগুলো ব্যবহার করা হলে এগুলোর কারণে গ্যাস গঠন হওয়া সহজেই হতে পারে।
    • অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার: বেশি পরিমাণে ফ্যাটযুক্ত খাবার যেমন চিপস, বাটার, মহিষাসাগুর ইত্যাদি হজমানী প্রক্রিয়ায় ব্যতিত হওয়ার কারণে গ্যাস গঠন হতে পারে।
  2. হজমের সমস্যা: কিছু মানুষের হজম প্রক্রিয়ার সমস্যা থাকে এই কারণে গ্যাস হয়ে থাকে।   

গ্যাস থেকে বাচার উপায় কী কী 

গ্যাস থেকে রক্ষা পেতে কিছু সাধারণ উপায় রয়েছে যা নিম্নলিখিত হতে পারে:

  1. খাবারের পদার্থ নিরোধ করুন: যেমন অতিরিক্ত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থেকে সাবধানি নেওয়া, যেমন ব্রকলি, ক্যাবেজ, বাঁধাকপি, লেবু ইত্যাদি।

  2. কার্বনেটেড পানি এবং কোলা সর্বনিম্ন করুন: কার্বনেটেড পানি এবং কোলা একটি বৃহত্তর গ্যাসের উৎপত্তি উপজেব হতে পারে, তাই তাদের সর্বনিম্ন অংশটি নিশ্চিত করুন।

  3. পানি ভাল ভাবে খান এবং পান: এটি হজম প্রক্রিয়াকে সাহায্য করতে পারে এবং গ্যাস গঠন হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।

  4. অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত খাবার পরিমাণ পরিমিত করুন: ফ্যাটযুক্ত খাবার হজম প্রক্রিয়াকে জটিল করতে পারে, তাই এগুলি পরিমিত রাখার চেষ্টা করুন।

  5. স্বাস্থ্যকর খাবার ও জীবনযাপন: স্বাস্থ্যকর খাবার ও সম্মানজনক জীবনযাপন গ্যাস গঠন হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

  6. প্রাকৃতিক বা প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া চালিয়ে যান: যেমন ধ্বংসকারী পানির খাদ্য থাকতে পারে।

উপসংহার 

পেটে গ্যাস হওয়া সাধারণ একটি সমস্যা যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে খুব সাধারণভাবে ঘটে। এটি খাবারের পদার্থের গুণগত বৈশিষ্ট্য, অতিরিক্ত গ্যাস উৎপন্ন করতে পারে এবং কিছু ব্যক্তিগত অবস্থাও এর কারণ হতে পারে। সাধারণভাবে এটি খাবারের অতিরিক্ত ফাইবার, কার্বনেটেড পানি বা কোলা, অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার এবং হজম প্রক্রিয়ার সমস্যা থেকে ঘটে। গ্যাসের প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত কার্যকরী ব্যায়াম পরিপ্রেক্ষিত রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

comment url